সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভাতের মাড়
ফারজানা ওয়াহিদ
ভাতের মাড় হলো চালের নির্যাস। এই নির্যাস ফেলে দিলে ভাতের কিছু থাকে না। তাই ভাতের মাড় ফেলে না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। চীন ও জাপানে ভাতের মাড় নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে।
২০০৪ সালে চীনের বিজ্ঞানী মি. লিন মাড় ফেলা ও মাড় বিদ্যমান ভাত নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি গবেষণায় ভাতের মাড়ে জিংক, মেলেনিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও কপার এই ছয়টি উপাদান আবিস্কার করেছেন।
ভাতের মাড়কে ক্যালোরিসমৃদ্ধ সুষম খাবার বলে বিবেচনা করা যায়। ভাতের মাড় শুধু দেহের পুষ্টিতেই নয় সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও অনেক সহায়তা করে। হাতের কাছেই এতো সহজ উপায় থাকতে কেন বাইরের জিনিস কিনে টাকা খরচ করবো। তাই জেনে নিই কেন করবো ভাতের মাড়ের ব্যবহার-
১। ভাতের মাড় দিয়ে মুখ ধুলে, মুখ পরিষ্কার হয়।
২। মুখের ত্বকে যেই ছোট ছোট ক্ষত থাকে তা সাড়াতে ভাতের মাড় খুব উপকারী।
৩। ভাতের মাড় দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন দেখবেন চুল অনেক উজ্জ্বল হবে।
৪। পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে ভাতের মাড়ের মাঝে তুলো ভিজিয়ে সমস্ত মুখে লাগাবেন। এটি টোনার হিসেবে কাজ করবে।
৫। ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে।
৬। ত্বকে ময়েশ্চেরাইজার এবং এন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে এবং এতে অতিবেগুনী রশ্মি শোষণের ক্ষমতা রয়েছে।
৭। আমাদের ত্বকের উপর তামার প্রলেপ পড়ার প্রবণতা রয়েছে আর ভাতের মাড় সেটা গঠন করতে বাধা দেয়।
৮। ত্বকে হাইপার পিগমেন্টেশনে ও বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে।
৯। চালের প্রোটিন চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে চুলকে মজবুত করে নরম ও চকচকে করে।
১০। ভালো চালের তৈরি ভাতের মাড় দিয়ে দিনে ২ বার গোসল করলে ত্বকের বিরক্তিকর জ্বালা ও র্যাশ ভালো হয়ে যায়।
১১। যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা ভাতের মাড় তুলো দিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগালে তা অতি দ্রুত সেরে উঠে এবং ত্বকের লালচে ভাবও দূর করে।
১২। ত্বকের যেখানে চর্ম রোগ রয়েছে সেখানে ঠাণ্ডা ভাতের মাড় লাগাতে হবে। এভাবে নিয়মিত লাগালে লক্ষণীয় পরিবর্তন চোখে পড়বে।
১৩। ভাতের মাড়ের শ্বেতসার জাতীয় পদার্থ চর্মরোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই কার্যকর।
তবে আপনি যখন ভাত রান্না করবেন, যতটুকু পানি সবসময় দেন তার থেকে একটু বেশি পানি দিবেন। এরপর ঠাণ্ডা হলে ভাতের মাড় আপনার প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে